নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সড়কে চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক, সার্জেন্টদের হাতে হয়রানির প্রতিবাদে চালকদের ৬ ঘন্টার ধর্মঘটে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এই ধর্মঘটে পরিবহন সংকটে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও অফিস, আদালতগামী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। পরবর্তী কুমিল্লা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টরসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের হয়রানি বন্ধ ও দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে সকাল ১১ টায় চালকরা ধর্মঘট তুলে নেয়।
সড়কের মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক, সার্জেন্টদের হাতে হয়রানি বন্ধ এবং কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে যাত্রী উঠানো-নামানোর দাবিতে
বুধবার সকাল থেকে নগরীর কচুয়া চৌমুহনী এলাকায় চালকরা সড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় যাত্রীরা। এতে করে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, জাঙ্গালিয়া, টমছম ব্রিজ ও কান্দিরপাড় থেকে যাতায়াতকৃত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
চালকরা জানান, তাদেরকে মোড়ে মোড়ে চাঁদা দিতে হচ্ছে, গাড়ির কাগজপত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পরও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের অন্যায় ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি এবং ট্রাফিক পুলিশ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ তারা। এছাড়া কান্দিরপাড়ে তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এসব বিষয়গুলো প্রশাসন সমাধান না করায় তারা ধর্মঘট ডেকেছেন।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক বলেন, যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অনুসারে পূর্বের মত সিএনজি চালিত অটোরিকশা কান্দিরপাড়ে প্রবেশে বাধা প্রদান করা হয়। কিন্তু চালকরা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধর্মঘট ডাকে। পরবর্তীতে আমি সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও চালকদের সাথে কথা বলেছি। তারা যেন ধর্মঘট তুলে নেয় এবং জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। তাদেরকে আমরা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page